পটুয়াখালীর গলাচিপায় রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে কৃষিসম্প্রসারণ অফিস লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩৩ হাজার ৫শ হেক্টর। প্রাথমিকভাবে কৃষকরা আমনের জমিতে আইল বাঁধা আইলের সাইড কেটে জমিকে বীজতলার উপযোগী করে তুলছে।
পুরো উপজেলাজুড়ে এখন এমনি চিত্র চোখে পড়ছে। জানা যায় এ বছরে এই অঞ্চলে বোরো ধানের চাষের ফলন তেমন ভালো হয়নি। শুধু প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকে। কিন্তু চলতি মৌসুমে অতিখড়া না হওয়া বৃষ্টিপাতে আমন ধানের বীজতলায় বীজ লাগাতে কোন সমস্যার বেগ পোহাতে হয়নি কৃষদের।
সরেজমিনে উপজেলার চরকাজল, চরবিশ^াস, গলাচিপা সদর ইউনিয়ন, গোলখালী, আমখোলা, গজালিয়া, কলাগায়িছা, বকুলবাড়িয়া, চিকনিকান্দি, রতনদী তালতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বীজতলা তৈরি ও ধান চাষের জমি প্রস্তুত করছেন।
এসময় শত ব্যস্ততা দেখেও কথা বলতে চাইলে উপজেলার ধান চাষী মোঃ রফিক প্রতিবেদক কে বলেন, এ বছরে ধানের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষক ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বীজ বড় হলে শ্রাবণ মাসের শেষে জমিতে আমন ধান রোপণ শুরু হবে।
ধানচাষী পক্ষিয়া গ্রামের মোঃ ইদ্রিসুর রহমান বলেন, এখনো বৃষ্টি হওয়ার কারণে জমিতে বীজ বপন কৃষকের জন্যে বেশ সুবিধা হয়েছে। গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, বর্তমানে কৃষকদের মাঝে ধান চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ধানের মূল্য বেশী রয়েছে ফলে কৃষক চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, চলতি আমন মৌসুমে এবার ৩৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। কৃষকের লক্ষমাত্রা দেয়া আমন ধান চাষে পূরণ হবে বলে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের প্রনোদনার আওতায় আনা হয়েছে, ৯০ ভাগ কৃষকের বীজতলা সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহিন শাহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকদের সরকারিভাবে সকল সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। সার বীজ থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে সরকার কৃষকদের সাথে আছে।